ইউসুফ জুলেখার সম্পূর্ণ কাহিনীর ভিডিও ও লিংক

 আপনি কি ইউসুফ জুলেখার কাহিনী ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন বা মোবাইল ফোনে দেখতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য আমি ইউসুফ জুলেখার কুরআনের সঠিক ইউসুফ জুলেখা কাহিনী তুলে ধরলাম আপনি খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।


তবে আপনি ইউসুফ জুলেখার কাহিনী টি বুঝতে পারবেন এবং আপনি ইউসুফ জুলেখার কাহিনী যে ভিডিওগুলো  তৈরি করেছেন সেই ভিডিও বার্তা দেখতে চাইলে অবশ্যই আমার  এই আর্টিকেল লিংক ব্যবহার করে দেখতে পারবেন নিচে আর্টিকেল  পড়ার পর এবং সম্পন্ন কাহিনী বোঝেন।

আসুন আমরা কুরান পড়ি, কুরান নিয়ে গবেষনা করি তাহলে আমরা নবীদের জীবন কাহিনী কুরান থেকেই সঠিক ইউসুফ জুলেখার কাহিনী জানতে পারবো ও তার থেকে শিক্ষা  নিতে পারব এবং নিজের জীবনকে সে আলোয় আলোকিত করতে পারব।

মুস বাদশার কন্যা জুলেখা 

দারুন সুন্দরী বেশ ধুমধাম করে বাদশা আজিজের সাথে তার বিয়ে হয় তখন জুলেখার বয়স মাত্র ১৩ বছর। জুলেখার ভীষন বাচ্চার শখ বাদশা আজিজের সমস্যা আছে বাচ্চা হয় না এদিকে পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে  সারাদিন জুলেখা মন খারাপ করে থাকে। 


আজিজ ব্যস্ত থাকে তার রাজ দরবার নিয়ে  জুলেখার দিকে ফিরে তাকানোর তার সময় নেই, বয়সে ইউসুফ (আ) ছো জুলেখা বড়  ৪/৫ বছরের বড়, ইউসুফ (আঃ) দারুন স্মার্ট ছিলেন। প্রচন্ড রুপবান এবং হৃদয়বান ছিলেন।


সাহিত্যিকেরা নানান রঙ রস মিশিয়ে ইউসুফ জুলেখার কাহিনী লিখেছেন যা মনগড়া এমন কি মুখে মুখে নানান রকম গল্প প্রচিলিত আছে যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীণ। 


বিভিন্ন সাহিত্যে ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে জুলেখার পুনর্মিলনের বর্ণনা পাওয়া যায়। ইউসুফ-জুলেখা সেই মধ্যযুগের লেখকের রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি প্রণয়-কাব্য  তারও বহু আগে পনেরো শতকে শাহ মুহম্মদ সগীর এটি রচনা করেন।

ইউসুফ-জোলেখা কাব্যের বিষয়বস্তু প্রণয় কাহিনী।

সাহিত্যের সকল লেখকই কুরআন কাহিনী অবলম্বন করেছেন তবে ইউসুফ -জুলেখার মিলন দিয়ে সকলেই কাহিনী শেষ করেছেন এটি স্পষ্টত কোরআনের খেলাফ।


সত্যি কথা এই যে, জুলেখার সাথে ইউসুফের বিবহ হয়েছিল এমন কোন ভিত্তি নেই কুরানে জুলেখা নামটি নেই বলা হয়েছে আজীজের স্ত্রী, কোন কোন তাফসিরকারক আজীজের স্ত্রির নাম দিয়েছে জুলেখা।


আজিজের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের রুপ আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিল।

সে ইউসুফকে বেশ কয়েকবার সহবাস করার জন্য আহবান জানায় কিন্তু আল্লাহ ভীরু ইউসুফ তার এই আহবান থেকে নিজেকে মুক্ত রাখেন। 


জুলেখার প্রস্তাবে রাজী না হওয়াতে জুলেখা প্রচন্ড রেগে যায় অপমানিত বোধ করে এবং রেগে গিয়ে কারাগারে বন্ধী করে রাখেন ইউসুফ (আ) কে কোরআনে ইউসুফ নবীর ঘটনাবলী একত্রে সাজিয়ে একটি সূরাতে সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।


আর এর মধ্যে যেসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তা যেমনি অলৌকিক, তেমনি চমকপ্রদ ও শিক্ষণীয় 

ইউসুফ (আ.) প্রথম জীবনে ক্রীতদাস, পরবর্তীতে জেলের আসামি এবং শেষ জীবনে মিসরের ক্ষমতাধর রাজকর্মচারী বা মন্ত্রী ছিলেন বলে ধারনা করা হয় এর বাইরে তিনি ছিলেন আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী। 


স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদানের দুর্লভ ক্ষমতা বা দক্ষতা তাকে প্রসিদ্ধ করে তোলে তিনি নবী হিসেবে তৎকালে মূর্তি উপাসকদের মাঝে এক আল্লাহর একাত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন।

পবিত্র কোরআনের ১২ তম সূরার নাম ‘সূরা ইউসুফ’।

কোরআনের কাহিনী ইউসুফ জুলেখার প্রেম কাহিনী নয় ইউসুফ [আঃ] এর প্রতিষ্ঠার কাহিনী একজন নবীর প্রতিষ্ঠার কাহিনীকে গৌণ করে সেটিকে প্রেমোপাখ্যানে পরিণত করা সাহিত্যের আদালতে অপরাধ না হলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে নীচ সন্দেহ নেই। 

নবীদের কাহিনীর নামে বাংলা ভাষায় অনেক বই রচিত হয়েছে যা বাজারে রাস্তায়, ফুটপাথে বিভিন্ন যায়গায় কিনতে পাওয়া যায় যা অত্যন্ত দুঃখজনক।


তাই আসুন আমরা কুরান পড়ি, কুরান নিয়ে গবেষনা করি নবীদের জীবন কাহিনী কুরান থেকেই জানার চেষ্টা করি তার থেকে শিক্ষা নেই নিজের জীবনকে সে আলোয় আলোকিত করি।

ইউসুফ জুলেখার কাহিনী  অভিনয় সম্পাদনা করেছেন 46 জন

  1. মোস্তফা জামানি — নবী ইউসুফ/ইউজারসিফ।
  2. মাহমুদ পাক নিয়াত — নবী ইয়াকুব।
  3. কাতায়ুন রিয়াহি — জুলেখা।
  4. জাফর দেহঘান — পুতিফার/আজিজ।
  5. আব্বাস আমিরি — আঙ্খ মাহু।
  6. জাহানবাখশ সুলতান — তৃতীয় আমেনহোতেপ।
  7. রাহিম নরোজি — আখেনাতেন।
  8. মাহভাশ সাবরখান — কারিমানা।
  9. এলহাম হামিদি — আসেনাথ।
  10. পারভানেহ মাসৌমি — তিয়ে।
  11. লাইলা বলৌকাত — নেফেরতিতি।
  12. আমির হোসেইন — ইনারৌস।
  13. মোহাম্মদ আলী সোলেমান তাস — আপৌপিস।
  14. রেজা রাজাভি — হোরেমহেব।
  15. আলি তালিব লু — হানিফার।
  16. ইসমাঈল সোলতানিয়ান — কিমোনি।
  17. ইসরাফিল আলমদারি — রোদেমন।
  18. রেজা আক্বারাবী — পাদিয়ামন।
  19. জেহির ইয়ারি — বেঞ্জামিন।
  20. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জাওয়াদ তাহেরি — মালিক বিন জার।
  21. আরদালান সোজা কাভেহ — জিবরাঈল।
  22. সিরৌস কাহভারী নেজাদ — মিমিসাবু।
  23. আলি ইয়াকুব জাদেহ — হওয়া।
  24. কৌরস জাদেই — লেভি।
  25. হুসেইন জাফরী — তরুণ নবী ইউসুফ।
  26. দাভৌদ শেইখ — জুডাহ।
  27. ফেরিশতেহ সারাবান্দি — লিয়াহ বিনতে লাবান।
  28. মারইয়াম বাখশি — রাচেল বিন্তে লাবান।
  29. জাহরা সাঈদি — ফায়ঘে বিনতে ইসহাক।
  30. নাসরিন নাকিসা — দিনাহ বিনতে ইয়াকুব।
  31. আলা মহসেনি — নিনিফার কিবতা
  32. মুহাম্মাদ আহমদী — জাইলিং।
  33. মোজতাফা বিতারাফান — সুফার।
  34. নাসের ফারুক — খুফু।
  35. আলি বেকাইয়ান — আপৌকি
  36. জামশিদ সাফারি — ফালিহ
  37. সৌদাবেহ আলি পৌর — বিলহাহ
  38. মিত্রা কাভাজেহ নিয়ান — জিলফাহ
  39. জাহরা বাহারজাভি — তিয়ামিনি।
  40. সাঈদাহ আরব — লিয়াহ।
  41. বিতা সামারি — তামা।
  42. মোহাম্মদ কাসিম পৌর সাত্তার — নবী খিজির।
  43. পারভেজ বাল্লাহি ভৌর — কিদামেন
  44. সিরৌস আসনা ঘি — কারারক্ষী।
  45. মনৌচেহর বেহরৌজ — বিন্তু
  46. সাইয়্যেদ মোঃ তাকি রাফাকি — আখেনাতেনের উপদেষ্টা।

পবিত্র কুরআনের বর্ণনা মতে

পবিত্র কোরআনে সূরা ইউসুফের বর্ণনা মতে, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর পুত্র ইসমাইল (আঃ), তাঁর ছেলে হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেন ইউসুফ। হযরত ইয়াকুব তার গোত্রের লোকদের কথিত ঈশ্বর ‘ইশতারের’ উপাসনা ছেড়ে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের আহ্বান জানান। 


লোকেরা তাকে নানাভাবে অপদস্থ করে, দমে যাননি তিনি কিন্তু আল্লাহর দৈব সাহায্যের নিদর্শন দেখে, লোকেরা সাড়া দেন তাঁর আহ্বানে ছোটবেলায় ইউসুফের মা মারা যান সুদর্শন শান্ত স্বভাবের ইউসুফকে বাবা ইয়াকুব (আঃ) খুবই ভালোবাসতেন একারণে সৎ ভাইদের রোষানলে পড়েন ইউসুফ। 


ভাইয়েরা তাঁকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় একটি কুপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয় শিশু ইউসুফকে। একটি কাফেলা ইউসুফকে ওই কুয়া থেকে উদ্ধার করে মিসরের রাজার কাছে বিক্রি করে দেয়। রাজ দরবারে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন ইউসুফ। 


তাঁর রুপ, গুণ ও আচার ব্যবহারের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যেজুড়ে রাজার স্ত্রী জুলেখা, ইউসুফের রুপ ও যৌবনে মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমে পড়েন খবরটি অভিজাত মহলে জানাজানি হলে, শুরু হয় রাণীর সমালোচনা রানী একদিন মহিলাদের রাজমহলে আমন্ত্রন জানান। 


তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি ছুড়ি ও একটি করে ফল দিয়ে সবাইকে ফল কাটার আহবান জানান এসময় ইউসুফ ওই কক্ষে প্রবেশ করলে– সবাই অবাক হয়ে যান এবং ফলের পরিবর্তে সবাই নিজ নিজ আঙ্গুল কেটে ফেলেন। কু-প্রস্তাবে ইউসুফ সাড়া না দেয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন রানী।


ঘটনাচক্রে জেলে বসে রাজা এবং অন্যান্যের দু’একটি স্বপ্নের সত্য ব্যাখ্যা দেয়ায় তাকে মুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করেন রাজা ক্রমে ঘটনা গড়াতে থাকে একপর্যায়ে পিতা ইয়াকুব সহ তাঁর ভাইদের সাথে মিলন হয় ইউসুফের এভাবেই সুখ-দুঃখ, ঘাত প্রতিঘাত, প্রেম-ভালোবাসার মধ্য দিয়ে এগুতে থাকে ইরানের বিখ্যাত এই টিভি সিরিয়াল ‘ইউসুফ পয়গম্বর’ এর কাহিনী।

ইউসুফ জুলেখা কাহিনী  ডাউনলোড ও ভিডিও দেখার লিংক

উপসংহার

ঘটনার কুরআন শরীফ থেকে প্রমাণিত তাই মুসলীমদের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে জুলেখা নামক মহিলা ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেমে বা এক কথায় তাঁর রূপ সৌন্দর্যের প্রতি ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন।


তাই কোরআন থেকে বর্ণিত একটি সূরা আল্লাহ তায়ালা ঘটনাকে উদ্দেশ্য করে মানবজাতিকে বোঝানোর জন্য কুরআনে বর্ণিত করেছেন যা মানব জীবনে কল্যাণময় তাই প্রত্যেক  মুসলমানের  কর্তব্য নিজের চোখ হাত-পা মুখ সব কিছুকে হেফাজতে  রাখা। 


যদি আমরা হেফাজত করতে পারি তবে  আমরা ঈমানদার ব্যক্তি হতে পারব এবং ইউসুফ জুলেখার এই ঘটনা উপলব্ধি করে বুঝতে পেরেছি যে একজন নবী কতটা অন্তত এবং ঈমান রক্ষা করতে আল্লাহর ভয়ে নারী ও দুনিয়াবী  লোভ লালসা থেকে বিরত ছিলেন।


তা অবশ্যই কুরআনের ইউসুফ জুলেখার কাহিনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে অবশ্যই অবশ্যই সক্ষম হওয়া উচিত কেননা আল্লাহতালা নিজেকে হেফাজত করার জন্য অবশ্যই বলেছেন  কিন্তু নিজ ইচ্ছায় আমরা যদি পাপ করি তাহলে আল্লাহতালা ক্ষমা করবেন না।


*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

ad

add_action('wp_footer', function(){ if(!is_single()) return; ?>